
৳ ৩২০ ৳ ২৪০
|
২৫% ছাড়
|
Quantity |
|
৯৯০ বা তার বেশি টাকার বই অর্ডারে ডেলিভারি চার্জ ফ্রি। কুপন: FREEDELIVERY
প্রথম অর্ডারে অতিরিক্ত ১০০ টাকা ছাড়; ১০০০+ টাকার বই অর্ডারে। ৫০ টাকা ছাড়; ৫০০+ টাকার বই অর্ডারে। কুপন: FIRSTORDER





ভূমিকা:
‘রকস্টার’ – আমার কাছে বাংলাদেশের সফটওয়্যার ইন্ডাস্ট্রিতে আ ন ম বজলুর রহমান রোকন হচ্ছে রকস্টার। নিজের ছাত্র হিসেবে বলছি না, এখন পর্যন্ত তার ক্ষুদ্র প্রফেশনাল ক্যারিয়ারের দিকে তাকিয়ে, সবাই আমার সঙ্গে একমত হবেন নিশ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের প্রথম দিনগুলো থেকেই দেখছি, রোকন কখনোই একসঙ্গে সবকিছু করতে চায়নি। বরং প্রথাগত ভালো ছাত্র হওয়ার দিকে নজর না দিয়ে, তার যেটা ভালো লেগেছে সেটা সবচেয়ে ভালোভাবে করার চেষ্টা করেছে। ক্লাসরুমে সবসময়ই বলি, তুমি যদি ঝাড়ুদারও হতে চাও তবে দেশের শ্রেষ্ঠ ঝাড়ুদার হয়ে দেখাও। রোকন হচ্ছে আমার এই কথাটির শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। সে সফটওয়্যার শিল্পের একজন শিল্পী হতে চেয়েছে এবং দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী হয়েই দেখিয়েছে।
যে কোনো স্টারের কাছে সবাই শিখতে চায়, তার মতো হতে চায়, সবাই তাকে অনুসরণ করতে চায়। যার ফলশ্রুতিতে স্টার-এর ওপর বর্তায় অনেক দায়িত্ব। সব রোল মডেল সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারে না। কখনো কখনো অতিরিক্ত দায়িত্বভারে ভেঙ্গে পড়ে। রোকন কিন্তু তার দায়িত্ব থেকে সরে যায়নি, দায়িত্বকে অবহেলায় ভুলেও থাকেনি। বরং তার চওড়া কাঁধে সমস্ত দায় নিয়ে, বাংলা ভাষাতেই জাভার মতো প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ চর্চা এবং শেখানোর মহান ব্রতে রত হয়েছে।
কেউ বলতে পারে, টেকনোলজির মত বিষয় আবার বাংলা ভাষাতে বোঝানো কেন? এতে বিষয়ের মূলসুর কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়। শিক্ষক হিসেবেই বলছি, ক্লাসরুমে যখন ইংরেজিতে লেকচার দেই, বইয়ের বিষয়াবলী সত্যিই মেকানিকাল রোবটের মতো সহজে বলে দেয়া যায়। কিন্তু তাতে কি নিজে যা বলতে চাইলাম তা কি ঠিকঠাকমতো বলা হলো? ছাত্রছাত্রীরাই কি তাদের মনের আশ মেটাতে পারল? বরং ছাত্রছাত্রীরা যখন সত্যিই আরও বুঝতে চায়, আরও গহীণে ঢুকতে চায়, তখন কিন্তু উদাহরণ হিসেবে ঠাকুরমার ঝুলিতে-ও আশ্রয় খুঁজি। পাশের বাড়ির রহিমের সমস্যা এবং ভিনগাঁয়ের করিমের সমাধান দিয়েই গল্প সাজাই। তবে কেন সেই কথাগুলো টেকনোলজির বইয়ে আসতে পারে না?
রোকনের প্রথম প্রচেষ্টা “জাভা প্রোগ্রামিং” বইটির সঙ্গেও আমি যুক্ত ছিলাম। ওর প্রথম বইটির মোড়ক উন্মোচন আমিই করেছি। সেদিনই রোকনের কাছে শুনি, জাভার অ্যাডভান্সড বিষয়াবলী নিয়েও বাংলায় বই লেখার আকাঙ্ক্ষার কথা। তার আরও বড় স্বপ্নটার কথা। কিন্তু সে যে এত দ্রুত, এত জটিল একটি বিষয় অর্থাৎ “থ্রেডিং” নিয়ে এত সহজ ও সাবলীলভাবে লিখে ফেলবে, আমি তা ভাবিনি। এই ছোট্ট সহজ ভূমিকা লিখতে গিয়েই বুঝতে পারছি কি অসাধারণ কিন্তু অমানুষিক পরিশ্রম রোকন-কে করতে হয়েছে।
যারা আগেই থ্রেড নিয়ে কাজ করেছেন, যারা অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখেন, তারা বইটি পড়ামাত্রই বুঝতে পারবেন, কতখানি জ্ঞানের গভীরতা থাকলে, এতখানি সাবলীলভাবে এরকম একটি বই লেখা যায়। যারা নতুন, থ্রেড সত্যিই বুঝতে চাচ্ছেন, আমি বলব তারা সৌভাগ্যবান, যে এমন একটি বই মাতৃভাষাতেই পাচ্ছেন। সবসময় নব্য বা হবু প্রোগ্রামারদের বলে এসেছি- খুব ভাল প্রোগ্রামার হতে চাইলে- অপারেটিং সিস্টেম, অথবা আরও সোজাসাপ্টা মেমোরি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কে খুব স্বচ্ছ ধারণা থাকতে হবে। রোকন মোমোরির কাছাকাছি থেকে থ্রেড বোঝানোর চেষ্টা করেছে। খুব সহজ হতো যদি রোকন সরাসরি বলতো, থ্রেড ব্যবহার করতে চাও- এই এই কমান্ডগুলো মুখস্থ করে নাও। রোকন তা করেনি। সে সম্ভবত নিজের কাছেও সৎ থাকতে চেয়েছে। প্রতিটি বিষয়কে প্রথমে সিস্টেমের কাছে নিয়ে গিয়ে বুঝিয়েছে, তারপর উদাহরণ বা ইমপ্লিমেন্টেশনে ঢুকেছে। পাঠকের জন্য যা বিশাল প্রাপ্তি। বাংলা ভাষায় একটি জটিল টেকনিক্যাল বিষয়ের গভীরে পৌঁছে সহজেই পাঠকের সাথে যোগাযোগ (কমিউনিকেট) করা যায় – এটা রোকন করে দেখিয়েছে। আমি এই বইয়ের সার্বিক সাফল্য কামনা করছি। --- ডঃ কাজী মুহাইমিন-আস-সাকিব
Title | : | জাভা থ্রেড প্রোগ্রামিং |
Author | : | আ ন ম বজলুর রহমান |
Publisher | : | দ্বিমিক প্রকাশনী |
ISBN | : | 9789843436917 |
Edition | : | 1st Edition, 2018 |
Number of Pages | : | 200 |
Country | : | Bangladesh |
Language | : | Bengali |
লেখালেখির শুরুটা কবিতা দিয়েই, সেই ছোট্টবেলায়। একসময় কবিতার খাতাটি হারিয়ে প্রোগ্রামিংয়ের এডিটরটাই হয়ে যায় লেখালেখির নতুন ক্যানভাস।
জন্ম শেরপুর জেলার ভারেরা গ্রামে, ১৯৯০ সালের ২৩শে এপ্রিল। শেরপুরেই স্কুল-কলেজের পাট চুকিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। পড়াশোনা সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে। গ্র্যাজুয়েশনের পর থেরাপ বিডি লিমিটেডে সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করেছেন আড়াই বছর। এর মধ্যে গেস্ট ফ্যাকাল্টি হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য প্রযুক্তি ইনস্টিটিউটে কাজ করেছেন দুবছর। বর্তমানে তিনি বিকাশ লিমিটেডের রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টে লিড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত আছেন।
ছাত্রাবস্থা থেকেই প্রোগ্রামিং ছিল তার ধ্যান-জ্ঞান। প্রোগ্রামিংয়ের জন্য তার পছন্দের ভাষা জাভা। জাভা দিয়ে সফটওয়্যার লেখাটা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা কিংবা কাজের জন্য নয়, বরং ভালোবেসে নিজে নিজেই করেছেন বেশি। জাভার প্রতি ভালোবাসা থেকেই জাভা ইউজার গ্রুপ বাংলাদেশ (https://jugbd.org/) প্রতিষ্ঠা করেছেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ব্লগে লিখে চলেছেন জাভা এবং নানা নতুন টেকনোলজি নিয়ে। নিয়মিত আয়োজন ও অংশগ্রহণ করছেন জাভার সম্মেলনে। প্রোগ্রামিং এবং টেকনোলজি নিয়ে প্রতি মাসেই দেশ-বিদেশের জ্ঞানীগুণী প্রোগ্রামারদের নিয়ে আয়োজন করছেন ভার্চুয়াল সম্মেলন।
জাভাকে দেশের মানুষের কাছে নিজের ভাষায় সহজে পরিচিত করতে বাংলায় লিখেছেন বই–জাভা প্রোগ্রামিং ও জাভা থ্রেড প্রোগ্রামিং।
If you found any incorrect information please report us